কিভাবে ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নিবেন?
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। উচ্চ শিক্ষা, চাকরি বা স্থায়ী ভাবে দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পাশাপাশি আরো একটি গুরুত্বপুর্ন জিনিসের প্রয়োজন হয় আর সেটি হলো IELTS এর স্কোর।
উচ্চশিক্ষার কাজ বা মাইগ্রশন এর উদ্দেশ্যে বিদেশ যাবার প্রাথমিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন একটি ধাপ হলো IELTS . তাই এই গুরুত্বপুর্ণ এই বিষটিতে কাঙ্খিত স্কোর তুলতে প্রয়োজন যথাযথ প্রস্তুতি।
বর্তমানে IELTS প্রস্তুতির জন্য সকল যাবতীয় উপকরণ অনলাইনেই সহজলভ্য হওয়ার কারনে ঘরে বসেই বিনামূল্যে নিজে নিজে নিজেই এটির জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো, কিভাবে ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নিবেন, IELTS এর প্রস্তুতির জনয় কি বই পড়তে হবে, IELTS পরীক্ষার নিয়ম সহ আরো ইত্যাদি বিষয়। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত ।
মুলত একটি ইংরেজি ভাষাভাষী রাষ্ট্রে একহন নন-ইংরেজি ব্যক্তি কিভাবে তার মনের ভাব প্রকাশ করবে, নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করবে, অন্যের মনের ভাব বুঝবে, ইংরেজি বলতে লিখতে শুনতে এবং বুঝতে পারবে এর মানদন্ড স্বরূপ নেয়া হয় IELTS পরীক্ষা। ইংরেজিতে আপনার কতটুকু দক্ষতা আছে তা যাচাই করার জন্য আরো অনেক পরীক্ষা থাকলেও IELTS পরীক্ষাটি অন্যাধিক জনপ্রিয়।
IELTS কি
IELTS মূলত একটি আন্তজার্তিক মানের পরীক্ষা। যেটার মাধ্যমে ইংরেজি তে কতটুকু দখল আছে সেটা যাচাই বাচাই করা হয়। IELTS এর পূর্ণরুপ হলো International English Language Testing System. এটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে এবং এটি পরবর্তী সময় থেকে আজ অব্দি জনপ্রিয়।মুলত একটি ইংরেজি ভাষাভাষী রাষ্ট্রে একহন নন-ইংরেজি ব্যক্তি কিভাবে তার মনের ভাব প্রকাশ করবে, নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করবে, অন্যের মনের ভাব বুঝবে, ইংরেজি বলতে লিখতে শুনতে এবং বুঝতে পারবে এর মানদন্ড স্বরূপ নেয়া হয় IELTS পরীক্ষা। ইংরেজিতে আপনার কতটুকু দক্ষতা আছে তা যাচাই করার জন্য আরো অনেক পরীক্ষা থাকলেও IELTS পরীক্ষাটি অন্যাধিক জনপ্রিয়।
বিশ্বব্যাপি British Council, IDP: IELTS Australia এবং Cambridge English Language Assessment এর অধীনে সাধারনত IELTS পরীক্ষা হয়। এটি ১ থেকে ৯ স্কেল এ গ্রেড করা হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ৩৪০০ প্রতিষ্ঠান সহ ১০,০০০ টিরও বেশি নিয়োগকারি, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং সংস্থা দ্বারা সারা বিশ্বে
স্বীকৃত। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ১৬ বছর থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় এবং কতবার অংশগ্রহণ করা যায় তা নির্ধারিত নয়।
উচ্চশিক্ষার জন্য দরকার হয় একাডেমিক মডিউল। আর চাকরি বা রেসিডেন্ট পারমিট এর জন্য দরকার হয় জেনারেল মডিউল।
স্বীকৃত। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ১৬ বছর থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় এবং কতবার অংশগ্রহণ করা যায় তা নির্ধারিত নয়।
IELTS এর প্রশ্নের কাঠামো
IELTS পরীক্ষার মূলত দুটি ভিন্ন মডিউল রয়েছে। একটি হলো একাডেমিক মডিউল। অপরটি হলো জেনারেল ট্রেনিং মডিউল।উচ্চশিক্ষার জন্য দরকার হয় একাডেমিক মডিউল। আর চাকরি বা রেসিডেন্ট পারমিট এর জন্য দরকার হয় জেনারেল মডিউল।
আবার এই টেস্ট দুটির রয়েছে ৪টি করে ভাগ। যথাঃ
লিসেনিংঃ IELTS টেস্টের ৪টি ভাগের প্রথম ভাগ হলো লিসেনিং। লিসেনিং এর জন্য আপনাকে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। ৩০ মিনিটের অডিও ভিত্তিক এই পরিক্ষায় ৪ টি ভাগে মোট ৪০ টি প্রশ্ন করে এবং সেগুলোরই উত্তর করতে হয়।প্রতি টি প্রশ্নের নির্ধারিত মান ১ এর ভিত্তিতে সঠিক উওরের উপর নির্ভর করে ব্যান্ড স্কোর প্রদান করা হয়। লিসেনিং মুলত আপনার কথোপকথন বোঝার দক্ষতা যাচাই মূলক পরীক্ষা। ৩০ মিনিটের এই পরীক্ষার ধাপে আপনাকে এক বার শোনানো হবে ৪টি রেকর্ড। আর এই শ্নানো রেকর্ডের উপর ভিত্তি করেই প্রশ্ন করা হবে। এই পরীক্ষায় ভালো স্কোর করতে হলে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে।
রিডিংঃ রিডিং পরিক্ষার জন্য ১ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে। আর এর মধ্যেই ৩টি অনুচ্ছেদ থেকে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রিডিং টেস্টের মাধ্যমে পড়ার দক্ষতা যাচাই করা হয়ে থাকে।
রাইটিংঃ রাইটিং ধরা হয় IELTS এক্সামের এর সবচেয়ে কঠিন অংশ। তবে এটি সহজ নাকি কঠিন এটা অবশ্যই আপনার প্রস্তুতি এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। এই টেস্টে ১ ঘন্টা সময়ের মধ্যে দুটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এর মধ্যে একটিতে গ্রাফ,ডায়াগ্রাম,চার্ট বা ম্যাপ থাকবে যেটা নিজের ভাষায় লিখতে হবে। আর অপরটিতে একটি মতামত থাকবে, যেটার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
স্পিকিংঃ ইংরেজিতে কত টা গুছিয়ে সাজিয়ে ও সুন্দর করে কথা বলতে পারেন সেই দক্ষতার পরীক্ষাই হচ্ছ স্পিকিং টেস্ট। এটি সাধারণত ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়ে থাকে। এটির ও তিনটি অংশ থাকে। প্রথম টি তে , সাধারণ প্রশ্ন যেমনঃ পরিবার, পড়াশোনা, শখ ইত্যাদি। ২য় অংশে একটি নির্দিষ্ট টপিক এ ২ মিনিট কথা বলতে হয়। আর ৩য় অংশে পরীক্ষকের সাথে ৪-৫ মিনিট কথা বলতে হয় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে। এটি প্রশ্ন উওর পর্বই বেশি হয়ে থাকে।
রিডিংঃ রিডিং পরিক্ষার জন্য ১ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে। আর এর মধ্যেই ৩টি অনুচ্ছেদ থেকে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রিডিং টেস্টের মাধ্যমে পড়ার দক্ষতা যাচাই করা হয়ে থাকে।
রাইটিংঃ রাইটিং ধরা হয় IELTS এক্সামের এর সবচেয়ে কঠিন অংশ। তবে এটি সহজ নাকি কঠিন এটা অবশ্যই আপনার প্রস্তুতি এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। এই টেস্টে ১ ঘন্টা সময়ের মধ্যে দুটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এর মধ্যে একটিতে গ্রাফ,ডায়াগ্রাম,চার্ট বা ম্যাপ থাকবে যেটা নিজের ভাষায় লিখতে হবে। আর অপরটিতে একটি মতামত থাকবে, যেটার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
স্পিকিংঃ ইংরেজিতে কত টা গুছিয়ে সাজিয়ে ও সুন্দর করে কথা বলতে পারেন সেই দক্ষতার পরীক্ষাই হচ্ছ স্পিকিং টেস্ট। এটি সাধারণত ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়ে থাকে। এটির ও তিনটি অংশ থাকে। প্রথম টি তে , সাধারণ প্রশ্ন যেমনঃ পরিবার, পড়াশোনা, শখ ইত্যাদি। ২য় অংশে একটি নির্দিষ্ট টপিক এ ২ মিনিট কথা বলতে হয়। আর ৩য় অংশে পরীক্ষকের সাথে ৪-৫ মিনিট কথা বলতে হয় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে। এটি প্রশ্ন উওর পর্বই বেশি হয়ে থাকে।
ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি
সঠিক পরিকল্পনা ও চেষ্টার দ্বারা ঘরে বসে IELTS এর প্রস্ততি নিয়ে IELTS এক্সামে ভালো স্কোর নিয়ে আসা সম্ভব। তবে ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নিতে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলোঃমনস্থির করা
IELTS এ ভালো স্কোর করার প্রথম ও প্রধান পূর্ব শর্ত হলো নিজের মনকে স্থির করা। সত্যিই কি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বা বিদেশে পাড়ি জমাতে চান কি না সে বিষয়ে আগে নিজেকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি আপনি সত্যিই চান তাহলে IELTS এর প্রস্তুতির কথা ভাবুন। আর ঘরে বসে IELTS এর প্রিপারেশন নিতে হলে অবশ্যই দৃঢ় মানসিকতা সম্পন্ন হতে হবে।বই কেনা
IELTS এর জন্য যে সকল কিছু প্রয়োজন তার সবই পাওয়া যায় এখন অনলাইনে। আপনাকে শুধু সেগুলো ইন্টারনেট থেকে খুজে বের করতে হবে। অতঃপর IELTS এর বই গুলোর পিডিএফ ডাউনলোড করতে হবে। IELTS এর জন্য ক্যামব্রিজ সিরিজের (৭-১৬) কিনে ফেলুন। এছাড়া বাজারে IELTS এর জন্য যে বইগুলো রয়েছে কিনে ফেলুন। IELTS এর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বই হলো- The speed reading book (Book by Tony Buzan)
- IELTS Practice Tests Plus – 1,2,& 3 (Book by Clare McDowell and Vanessa Jakeman)
- The Official Cambridge Guide to IELTS
- Common Mistakes at IELTS intermediate + advanced… and how to avoid them (Book by Pauline Cullen)
সময় বণ্টন
IELTS এর জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ এবং জরুরি বিষয় হচ্ছে সময় বণ্টন। মডিউল অনুসারে রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং, লিসেনিং কে সময়ে ভাগ করে নিন। প্রথম থেকেই আলাদা ভাবে সময়কে সঠিক ভাবে বণ্টন করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন।প্রয়োজনে একটি রুটিন করে নিন। ভোরের ও রাতের সময়টাকে আপনার রুটিনের মধ্যে প্রবেশ করান । যত বেশি সম্ভব হয় সময় দিন IELTS এর প্রস্তুতির জন্য।
অনলাইন কোর্স
বর্তমানের সকল কিছুই অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারনে, আপনি এখন চাইলেই খুব সহজেই ঘরে বসে IELTS এর জন্য অনলাইনে কোর্স করতে পারেন। কোথা থেকে পড়া শুরু করবেন, কি পড়বেন, কিভাবে পড়বেন আরও ইত্যাদি বিষয়ে আপনার যদি কোন দ্বিধা থাকে তাহলে আপনি অনলাইন থেকে স্বল্প মূল্যের একটি কোর্স করে ফেলুন।এতে করে আপনি যেমন IELTS সম্পর্কে সকল তথ্য ও পাবেন সেই সাথে আপনি একটি ভালো গাইডলাইন ও পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বাহিরে কোর্স করলে আপনার যে সময় আর শ্রম নষ্ট হতো এখানে আর তা হবে না। ঘরে বসে IELTS এর প্রিপারেশন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন কোর্স খুবই একটি উপযোগী মাধ্যম।
ভোকাবুলারি বৃদ্ধি
ইংরেজিতে আপনার যে পরিমাণই দক্ষতা থাকুক না কেন , সবার আগে বৃদ্ধি করতে হবে ভোকাবুলারি। ভোকাবুলারি স্কিল যত বৃদ্ধি করতে পারবেন IELTS এর ততই বেশি ভালো করার সুযোগ পাবেন। আর এর জন্য কমপক্ষে প্রতিদিন ১০ টি করে ভোকাবুলারি শেখার চেষ্টা করুন।ভোকাবুলারি শেখার জন্য বাজারে বিভিন্ন বই রয়েছে। এছাড়া প্লে স্টোরে অসংখ্য অ্যাপ ও রয়েছে । এদের মধ্যে Brithish Councill এর ভোকাবুলারির জন্য যে IELTS Prep App - takeielts.org অ্যাপটি রয়েছে এটি দেখতে পারেন।
এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে খুব সহজেই এখন ঘরে বসে IELTS এর সকল জ্ঞানই পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে IELTS এর যে কমিউনিটি গুলো আছে সেগুলোতে যুক্ত হয়ে আপনি আপনার স্কিল কে আরো বৃদ্ধি করতে পারেন।
নিয়মিত চর্চা
IELTS এ ভালো স্কোর করার জন্য নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই। আপনি প্রতিদিন যত চর্চা করবেন ইংরেজি আপনার কাছে ততই সোজা মনে হবে। তাই ইংরেজি ভাষার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিয়মিত চর্চা করুন।মক টেস্ট
মক টেস্ট আপনার ইংরেজি স্কিল টা কে আরো ভালো করে বৃদ্ধি করবে। তাই নিজের যোগ্যতা যাচাই করার লক্ষ্যে মক টেস্ট দিন। ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যে মক টেস্ট দিন। যত বেশি মক টেস্ট দিবেন IELTS সম্পর্কে ধারণা ততই বৃদ্ধি পাবে। মক টেস্টের সময় যেগুলা ভুল হবে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন।এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে খুব সহজেই এখন ঘরে বসে IELTS এর সকল জ্ঞানই পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে IELTS এর যে কমিউনিটি গুলো আছে সেগুলোতে যুক্ত হয়ে আপনি আপনার স্কিল কে আরো বৃদ্ধি করতে পারেন।
পরশিষ্ট
IELTS পরীক্ষায় পাস ফেলের কোন বিষয় নেই। আপনার ইংরজি দক্ষতা আপনার পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে। আপনি আপনার লক্ষ্য স্থির রেখে IELTS এর জন্য পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন।আপনার এই পরীক্ষার স্কোরই আপনার জীববকে বদলে দিতে পারে। তাই নিজেকে প্রস্তুত করে সাজিয়ে গুছিয়ে পড়াশোনা করুন। অবশ্যই IELTS এ আপনার স্কোর ভালো আসবে। আজকে এই প্রর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন । আল্লাহ হাফেজ আসসালামু আলাইকুম।
Comments
Post a Comment